বাংলাদেশে প্রবাসী ভাইদের জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান “প্রবাসী লোন” বা রেমিট্যান্স ভিত্তিক ঋণ প্রদান করে থাকে। এই লোন প্রবাসে থাকা কিংবা দেশে ফেরত আসা প্রবাসীদের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে কাজ করে। আজকে আমরা জানবো কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়, শর্ত কী, এবং কীভাবে আবেদন করবেন।
✅ প্রবাসী লোন কী?
প্রবাসী লোন হলো এমন একটি ঋণ, যা আপনি যদি বৈধভাবে বিদেশে থাকেন এবং নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠান, তবে সেই প্রমাণের ভিত্তিতে আপনাকে ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়। এই লোন ব্যবহার করে আপনি দেশে বাড়ি বানাতে, ব্যবসা শুরু করতে, সন্তানদের পড়ালেখা চালাতে বা হজ-ওমরার মতো ধর্মীয় কাজেও ব্যয় করতে পারেন।
🏦 কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়?
-
সোনালী ব্যাংক
-
প্রবাসী সঞ্চয়ী হিসাব থাকলে লোন সুবিধা পাওয়া যায়।
-
রেমিট্যান্স ইনসেনটিভ সহ।
-
-
অগ্রণী ব্যাংক
-
রেমিট্যান্স গ্রাহকদের জন্য প্রবাসী হোম লোন, ইজি লোন সুবিধা।
-
-
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL)
-
প্রবাসী মুন্সীগঞ্জ প্রকল্পসহ বিশেষ প্রবাসী সেবা।
-
ইসলামিক শরিয়াহ ভিত্তিক লোন।
-
-
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক
-
রেমিট্যান্স অ্যাকাউন্টধারীদের জন্য পারসোনাল লোন।
-
-
EXIM ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক – এরা বিশেষ প্রবাসী সেবা দিয়ে থাকে।
📄 আবেদন করার পদ্ধতি
🛂 প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
-
বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা কপি
-
রেমিট্যান্স ট্রান্সফার রেকর্ড (শেষ ৬ মাস)
-
বাংলাদেশে একজন গ্যারান্টর বা জামিনদার
-
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
-
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
-
চাকরির চুক্তিপত্র (যদি থাকে)
📍 আবেদনের ধাপ:
-
নিকটস্থ ব্যাংক শাখায় যান অথবা অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
-
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
-
ব্যাংক কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করবেন।
-
অনুমোদনের পর নির্ধারিত হারে সুদে লোন পাবেন।
💸 কত টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়?
ব্যাংকভেদে ভিন্ন হয়, তবে সাধারণভাবে:
-
৫০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে
-
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়।
-
সুদের হার: ৭% – ১২% এর মধ্যে।
📝 কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
-
সবসময় অনুমোদিত ব্যাংকের মাধ্যমেই রেমিট্যান্স পাঠান।
-
লোন নেয়ার আগে EMI ক্যালকুলেশন জেনে নিন।
-
লোন সময়মতো পরিশোধ না করলে সিআইবি রিপোর্ট খারাপ হতে পারে।
আপনি যদি প্রবাসী হন এবং লোন পেতে চান, তাহলে “প্রবাসী ইনফো” রয়েছে আপনার পাশে।