লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা – ২০২৫ সালের সম্পূর্ণ গাইড

লিথুনিয়া ইউরোপের একটি দ্রুত বর্ধনশীল দেশ যা দক্ষ ও অর্ধদক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য আকর্ষণীয় ওয়ার্ক পারমিট সুযোগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা চাইলে বৈধভাবে এই দেশের মাধ্যমে ইউরোপে কর্মসংস্থানের পথ খুলে নিতে পারেন।


✅ লিথুনিয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • অবস্থান: উত্তর-পূর্ব ইউরোপ (বল্টিক অঞ্চল)

  • রাজধানী: ভিলনিয়াস (Vilnius)

  • মুদ্রা: ইউরো (€)

  • ভাষা: লিথুনিয়ান, ইংরেজি বহুল প্রচলিত

  • ইইউ ও শেনজেন মেম্বার: হ্যাঁ ✅


🎯 কেন লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করবেন?

  • ইউরোপে বৈধভাবে কাজের সুযোগ

  • তুলনামূলক সহজ ভিসা প্রক্রিয়া

  • পরবর্তীতে পরিবার স্পনসর ও PR এর সুযোগ

  • ইউরোপে ট্রাভেল ও ভবিষ্যত সেটেলমেন্টের সুযোগ


🧰 প্রয়োজনীয় কাজের ধরন (In-Demand Jobs)

কাজের ধরন বেতন (প্রতি মাস)
নির্মাণ শ্রমিক €800 – €1200
হেলপার / লেবার €700 – €1000
কারখানার কর্মী €750 – €1100
ক্লিনার €650 – €950
হোটেল/রেস্টুরেন্ট €700 – €1050
ট্রাক/হেভি ড্রাইভার €1200 – €1800

📝 ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের ধাপসমূহ

✅ ধাপ ১: চাকরির অফার সংগ্রহ

কোনো লিথুনিয়ান কোম্পানির কাছ থেকে একটি জব অফার লেটার সংগ্রহ করুন।

✅ ধাপ ২: কাজের চুক্তিপত্র (Work Contract)

কোম্পানি আপনাকে একটি বৈধ কাজের চুক্তিপত্র দেবে, যাতে আপনার কাজের ধরন, বেতন ও দায়িত্ব উল্লেখ থাকবে।

✅ ধাপ ৩: ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন

নিয়োগকারী কোম্পানি আপনার পক্ষে লিথুনিয়ান মাইগ্রেশন অফিসে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবে।

✅ ধাপ ৪: ভিসা আবেদন

ওয়ার্ক পারমিট পেলে, আপনি VFS Global (ভারত/নেপাল) এর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করবেন।


📑 প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

  • বৈধ পাসপোর্ট (ন্যূনতম ১৮ মাসের মেয়াদ)

  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড)

  • কোম্পানির ওয়ার্ক কন্ট্রাক্ট / অফার লেটার

  • ওয়ার্ক পারমিট অ্যাপ্রুভাল কপি

  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সাপোর্টিং ডকুমেন্ট)

  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

  • মেডিকেল রিপোর্ট

  • হেলথ ইনস্যুরেন্স

  • এয়ার টিকিট বুকিং (শুধু আবেদন দেখানোর জন্য)

  • ভিসা আবেদন ফর্ম


📍 ভিসা কোথায় আবেদন করবেন?

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আবেদন সম্ভব নয়।
সাধারণত আবেদন করতে হয়:

  1. ভারতের দিল্লি/মুম্বাই VFS

  2. নেপালের কাঠমান্ডু VFS

👉 আবেদন করার আগে সেই দেশের ডাবল/মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা থাকতে হবে।


⏳ ভিসা প্রসেসিং টাইম

সাধারণত ৩০ – ৬০ কার্যদিবস লাগে। কিন্তু কাজের ধরন ও ডকুমেন্টস অনুযায়ী সময় কম-বেশি হতে পারে।


💰 ভিসা ও অন্যান্য খরচ (আনুমানিক)

খরচের ধরন পরিমাণ (ইউরো/BDT)
ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং €120 – €200 বা ~৳15,000-22,000
ভিসা ফি €60 – €90
বিমা + মেডিকেল + PCC ~৳10,000 – 15,000
মোট আনুমানিক খরচ ~৳30,000 – 50,000

🛬 লিথুনিয়া পৌঁছে কী করবেন?

  • ইমিগ্রেশন অফিসে রেজিস্ট্রেশন করুন

  • TRP (Temporary Residence Permit) এর জন্য আবেদন করুন

  • কাজের জায়গা ও বাসস্থান নিশ্চিত করুন


🤔 প্রশ্নোত্তর (FAQs)

❓ কোন ভিসা টাইপে লিথুনিয়ায় কাজ করা যায়?

👉 National (D) Visa with Work Permit

❓ পরিবারের সদস্যদের কী স্পনসর করা যায়?

👉 হ্যাঁ, TRP পাওয়ার পর ফ্যামিলি স্পনসরশিপের সুযোগ আছে।

❓ কতদিন পর PR পাওয়া যায়?

👉 সাধারণত ৫ বছর বৈধভাবে বসবাসের পর।

❓ অবৈধ হলে কী হবে?

👉 জরিমানা, ভিসা বাতিল ও ডিপোর্টের ঝুঁকি থাকে।


📢 উপসংহার

লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইউরোপে বৈধভাবে কাজ শুরু করার একটি বড় সুযোগ। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ ও বৈধ ডকুমেন্টস থাকলে আপনার জন্য লিথুনিয়ার দরজা খুলে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *