ক্রোয়েশিয়া ইউরোপের একটি সুন্দর দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। এটি বাংলাদেশি পেশাজীবীদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ক্রোয়েশিয়াতে কাজ করতে চাইলে প্রথমেই একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন:
১. উপযুক্ত চাকরির সন্ধান করুন
ক্রোয়েশিয়াতে কাজের জন্য প্রথম ধাপ হলো একটি চাকরি খুঁজে বের করা। আপনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাকরির ওয়েবসাইট যেমন LinkedIn, Glassdoor, বা Indeed ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, স্থানীয় রিক্রুটিং এজেন্সি বা আপনার পরিচিতদের মাধ্যমেও কাজের সন্ধান করতে পারেন।
২. চাকরির অফার পত্র (Job Offer Letter)
একটি চাকরির অফার পত্র পাওয়ার পর, সেই প্রতিষ্ঠানটি আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করবে। ওয়ার্ক পারমিট শুধুমাত্র সেই কাজের জন্য প্রযোজ্য হবে যা আপনি অফার পেয়েছেন।
৩. ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন
ওয়ার্ক পারমিটের জন্য সাধারণত যেসব ডকুমেন্ট দরকার:
- বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ১৮ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
- চাকরির অফার লেটার
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- পেশাগত অভিজ্ঞতার সনদ
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- মেডিকেল পরীক্ষা রিপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
৪. ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন প্রক্রিয়া
আপনার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান ক্রোয়েশিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করবে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে দুই মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
৫. ভিসার জন্য আবেদন করুন
ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদিত হওয়ার পর, আপনি ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হতে পারে।
৬. ক্রোয়েশিয়াতে যাওয়া
ভিসা পাওয়ার পর, আপনি ক্রোয়েশিয়াতে যেতে পারবেন। সেখানে পৌঁছানোর পর স্থানীয় প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করতে হবে, যেমনঃ বসবাসের অনুমতি (Residence Permit) সংগ্রহ করা।
অতিরিক্ত তথ্য
- আপনার পাসপোর্ট ও আইডি কার্ডের মেয়াদ যথেষ্ট থাকতে হবে।
- স্বাস্থ্য বিমা করানো জরুরি।
- ক্রোয়েশিয়ার আবহাওয়া ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা নিন।