বর্তমানে মালয়েশিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়া অনেক সহজ হয়েছে—বিশেষ করে যারা এখানে কাজ করেন বা স্টুডেন্ট আছেন। তবে সঠিক তথ্য জানা না থাকলে প্রতারণার শিকার হওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ইউরোপ যাওয়ার বৈধ, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ উপায়গুলি।
✅ জনপ্রিয় ইউরোপ ভিসার ধরন
১. Schengen Tourist Visa (ভ্রমণ ভিসা)
যারা ইউরোপ ঘুরতে যেতে চান, তাদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা।
👉 দরকারি ডকুমেন্টস:
-
মালয়েশিয়া রেসিডেন্ট পারমিট (Work Permit/Student Visa)
-
পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ)
-
ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (কমপক্ষে RM 20,000 সমমূল্য)
-
কাজ বা শিক্ষার প্রমাণপত্র
-
হোটেল বুকিং ও রিটার্ন ফ্লাইট
-
ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স
💰 খরচ: প্রায় RM 600 – RM 1000 (ভিসা ফি + সার্ভিস ফি)
২. ইউরোপ Work Permit Visa (কাজের ভিসা)
আপনি যদি দক্ষ কর্মী হন (ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, AC টেকনিশিয়ান, হোটেল স্টাফ, ড্রাইভার), তাহলে মালয়েশিয়া থেকে সরাসরি ইউরোপে কাজের ভিসা নেওয়া সম্ভব।
👉 জনপ্রিয় দেশ:
-
রোমানিয়া 🇷🇴
-
হাঙ্গেরি 🇭🇺
-
পোল্যান্ড 🇵🇱
-
ক্রোয়েশিয়া 🇭🇷
-
পর্তুগাল 🇵🇹
-
মাল্টা 🇲🇹
👉 দরকারি কাগজপত্র:
-
মালয়েশিয়ার ওয়ার্ক পারমিট
-
পাসপোর্ট (কমপক্ষে ২ বছরের মেয়াদ)
-
মেডিকেল রিপোর্ট ও PCC
-
একাডেমিক বা টেকনিক্যাল সার্টিফিকেট
-
ভিসা স্পন্সরিং কোম্পানির অফার লেটার
💰 খরচ: RM 5000 – RM 9000 (ভিসা, সার্ভিস ও টিকিটসহ)
৩. Student Visa (পড়াশোনার ভিসা)
যদি আপনি মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করছেন এবং ইউরোপে মাস্টার্স বা উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা হবে সেরা অপশন।
👉 জনপ্রিয় দেশ:
-
জার্মানি (ফ্রি টিউশন)
-
ইতালি
-
ফ্রান্স
-
পোল্যান্ড
-
নেদারল্যান্ডস
👉 প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
-
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
-
ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (১৫–২০ লাখ টাকা সমপরিমাণ)
-
IELTS/TOEFL সার্টিফিকেট
-
মালয়েশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা কপি
-
একাডেমিক সার্টিফিকেট
💰 খরচ: RM 8000 – RM 15000 (বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিসা খরচসহ)
⚙️ ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায়
🔹 ১. অনলাইনে চাকরির আবেদন (ফ্রি উপায়)
আপনি যদি দক্ষ কর্মী হন, তাহলে ইউরোপিয়ান কোম্পানিতে সরাসরি আবেদন করতে পারেন:
✅ ওয়েবসাইটগুলো:
🔹 ২. এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন (সতর্কভাবে)
মালয়েশিয়ার কিছু লাইসেন্সধারী এজেন্সি ইউরোপে লোক পাঠায়। তবে ভুয়া এজেন্সির থেকে সাবধান থাকুন।
চেক করুন:
-
অফিস ঠিকানা
-
ট্রেড লাইসেন্স
-
আগের ক্লায়েন্ট রিভিউ
-
লিখিত চুক্তি
🔹 ৩. ফ্যামিলি স্পনসরশিপ (যাদের আত্মীয় ইউরোপে আছেন)
আপনার যদি ভাই/বোন/আত্মীয় ইউরোপে থাকেন, তাহলে তারা আপনাকে ইনভাইট করে ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে নিয়ে যেতে পারেন।
⚠️ সতর্কবার্তা (WARNING)
❌ কেবল “কাগজ করে দিবো” বললেই বিশ্বাস করবেন না
❌ অফিস না দেখে টাকা পাঠাবেন না
❌ এক্সট্রা ফাস্ট প্রসেসিং বললেই লোভে পড়বেন না
❌ অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করবেন না (জেল + ডিপোর্ট হতে পারে)