বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়: বিস্তারিত গাইড
আমেরিকা (USA) বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ যেখানে পড়াশোনা, চাকরি, ব্যবসা এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অসংখ্য মানুষ যেতে চায়। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং ইমিগ্রেশন অন্যতম। এই পোস্টে আমরা আমেরিকা যাওয়ার সব সম্ভাব্য উপায় ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত, খরচ এবং আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১. স্টুডেন্ট ভিসা (F-1 Visa)
যারা আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা (F-1 Visa) অন্যতম জনপ্রিয় উপায়।
স্টুডেন্ট ভিসার শর্তাবলী:
- স্বীকৃত আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে অফার লেটার থাকতে হবে।
- SEVIS ফি প্রদান করতে হবে ($350)।
- পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ থাকতে হবে।
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতার জন্য TOEFL/IELTS স্কোর লাগতে পারে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নেওয়া ও I-20 ফরম সংগ্রহ করা।
- SEVIS ফি প্রদান করা।
- DS-160 ফরম পূরণ করে দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া।
- সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হলে ভিসা পাওয়া যাবে।
আনুমানিক খরচ:
খরচের ধরণ | আনুমানিক খরচ (USD) | আনুমানিক খরচ (BDT) |
---|---|---|
বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি | $10,000 – $50,000 (বার্ষিক) | ১১ – ৫৫ লক্ষ |
স্টুডেন্ট ভিসা ফি | $185 | ২১,০০০ |
SEVIS ফি | $350 | ৪০,০০০ |
বিমানের টিকিট | $1,500 – $2,500 | ১.৭ – ২.৮ লক্ষ |
২. ওয়ার্ক ভিসা (H-1B Visa)
যারা আমেরিকায় কাজ করতে চান, তাদের জন্য H-1B ওয়ার্ক ভিসা একটি ভালো অপশন।
H-1B ভিসার শর্তাবলী:
- আমেরিকার কোনো কোম্পানি থেকে চাকরির অফার থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর ন্যূনতম ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে।
- স্পেশালাইজড স্কিলের চাকরির ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- নিয়োগকর্তা (Employer) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিটিশন দাখিল করবে।
- পিটিশন অনুমোদিত হলে দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
- সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হলে ভিসা অনুমোদিত হবে।
আনুমানিক খরচ:
খরচের ধরণ | আনুমানিক খরচ (USD) | আনুমানিক খরচ (BDT) |
---|---|---|
H-1B আবেদন ফি | $460 | ৫২,০০০ |
বিমানের টিকিট | $1,500 – $2,500 | ১.৭ – ২.৮ লক্ষ |
আনুষঙ্গিক খরচ | $2,000 – $5,000 | ২.২ – ৫.৫ লক্ষ |
৩. পর্যটক ভিসা (B1/B2 Visa)
যারা স্বল্প সময়ের জন্য আমেরিকায় ঘুরতে যেতে চান, তাদের জন্য B1/B2 টুরিস্ট ভিসা দরকার।
পর্যটক ভিসার শর্তাবলী:
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট থাকতে হবে।
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ থাকতে হবে।
- দেশে ফিরে আসার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- DS-160 ফরম পূরণ করা।
- ভিসা ফি প্রদান করা।
- দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দেওয়া।
আনুমানিক খরচ:
খরচের ধরণ | আনুমানিক খরচ (USD) | আনুমানিক খরচ (BDT) |
---|---|---|
পর্যটক ভিসা ফি | $185 | ২১,০০০ |
বিমানের টিকিট | $1,500 – $2,500 | ১.৭ – ২.৮ লক্ষ |
আনুষঙ্গিক খরচ | $2,000 – $5,000 | ২.২ – ৫.৫ লক্ষ |
৪. ইমিগ্রেশন (Green Card / DV Lottery)
যারা স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করতে চান, তাদের জন্য গ্রিন কার্ড বা ডিভি লটারি সবচেয়ে সহজ উপায়।
গ্রিন কার্ডের শর্তাবলী:
- DV লটারিতে নির্বাচিত হতে হবে।
- পারিবারিক স্পনসরশিপ থাকতে পারে।
- দক্ষ শ্রমিক বা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ রয়েছে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- DV লটারি আবেদন করা (প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বর)।
- নির্বাচিত হলে দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিতে হবে।
- মেডিকেল পরীক্ষা এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে।
আনুমানিক খরচ:
খরচের ধরণ | আনুমানিক খরচ (USD) | আনুমানিক খরচ (BDT) |
---|---|---|
DV লটারি আবেদন ফি | ফ্রি | ০ |
ইমিগ্রেশন ফি | $330 – $1,225 | ৩৮,০০০ – ১.৪ লক্ষ |
মেডিকেল পরীক্ষা | $200 – $300 | ২৩,০০০ – ৩৫,০০০ |
বিমানের টিকিট | $1,500 – $2,500 | ১.৭ – ২.৮ লক্ষ |
উপসংহার
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে এবং প্রতিটি উপায়ের জন্য আলাদা শর্ত ও খরচ প্রযোজ্য। স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা, পর্যটক ভিসা এবং ইমিগ্রেশন – যেকোনো পদ্ধতিতে যাওয়ার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
আপনার যদি আরও পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের পরামর্শদাতা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। শুভকামনা! 🇺🇸✈️
আমি এখন আমেরিকায়। এইখানে একটা ক্যাশের কাজ দরকার। কাগজপত্রও দরকার। I left it very far away, so might as well get a new one. এইখানে আমেরিকার ভিতরে ক্যাশের কাজ থাকলে প্লিজ জানাবেন।